সুজিত দত্ত, সালথা :ফরিদপুর সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ফরিদপুরের নগরকান্দায় ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়।ইট তৈরির প্রধান কাঁচামাল মাটি।
ফসলি জমির মাটি ইট তৈরিতেও সুবিধা। এছাড়া হাতের নাগালে হওয়ায় কৃষকদের বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে এ মাটি কিনে নিচ্ছে একটি চক্র।
এরপর তারা বেশি দামে ইটভাটায় সরবরাহ করে থাকেন। এতে করে দিন দিন ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় যাওয়ায়, ফসলি জমি কমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
নগরকান্দা উপজেলার মহিলারোড-বিলনালিয়া সড়কের তালমা ইউনিয়নের কোনাগ্রামের খালপাড়ের ব্রিজ সংলগ্ন একটি ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে তা নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। জমির মালিক তালমা ইউনিয়নের বিলনালিয়া গ্রামের মোসলেম মোল্যা (৬৫)।
জমির মালিক মোসলেম মোল্যা বা বলেন, ফসলি জমির মাটির ভালো দাম পাওয়ায় তা বিক্রি করে দিয়েছি। জমির ফসলে তেমন লাভ না হওয়ায়, মাটি বিক্রি করে পুকুর খনন করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার ভৌমিক বলেন, কৃষি জমি কেটে মাটি বিক্রি করার ফলে, ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। এ ধরনের কাজ চলতে থাকা, খুবই দুঃখজনক।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) এনএম আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ফসলি জমির মাটি বিক্রি করে কৃষি জমির ক্ষতি করা হলে, এ ব্যাপারে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।